বিএনপিতে কোণঠাসা মেজর হাফিজ

bhola pratidin_bhola protidin_ভোলা প্রতিদিন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের এই সংস্কারপন্থী নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের পক্ষ থেকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। ওই শোকজের জবাবে করা সংবাদ সম্মেলনেও মেজর হাফিজের বক্তব্যেও এমন বিষয় উঠে এসেছে।

শনিবার দলের শোকজের জবাবে ঢাকার বনানীতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর হাফিজ। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে দলে নানাভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন সেসব বিষয়ও উল্লেখ করেন।

এমনই একটি প্রসঙ্গ উঠে আসে তার সংবাদ সম্মেলনে। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় বসে গঠন করেছেন, আহ্বায়ককেই আমি চিনি না। ছাত্রলীগের কর্মীরাও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমার সুপারিশকে বিবেচনা করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে কোনো উত্তর পাইনি। ২৯ বছর সার্ভিস দেওয়ার পর চিঠির একটি উত্তর আমি আশা করতেই পারি!

মেজর (অব.) হাফিজ যে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সেই প্রমাণ মিলে এই শোকজেও। এ শোকজ এ স্বাক্ষর করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাচিব রুহুল কবির রিজভী। একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে শোকজ করার অধিকার কি যুগ্ম মহাসচিব রাখেন? এর উত্তর পাওয়া যায় মেজর হাফিজের বক্তব্যেই। তিনি বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যের ব্যাত্যয় ঘটেছে।

বিএনপিতে মেজর হাফিজ মূল্যহীন হওয়ার আরও একটি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তার বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘বর্ণিত দলীয় সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সহ মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত স্মরণীয় দিবস সমূহে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানেও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।’

এমন প্রেক্ষাপটে ভোলা-৩ আসনে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন তো মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ?