গ্রামীণফোনের টু-জি এবং থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না মর্মে বিটিআরসির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে এই মোবাইল ফোন অপারেটর।
বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানায় গ্রামীণফোন।
বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, বিটিআরসি’র নোটিশটি অযৌক্তিক এবং একইসঙ্গে একটি বিতর্কিত অডিট দাবির বিষয়ে আমাদের গঠনমূলক সমাধান প্রস্তাবের বিপরীতে তাদের অনীহার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। নোটিশটি পর্যালোচনা করার পরই গ্রামীণফোন উত্তর দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমাদের প্রতিষ্ঠান, শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে বৃহস্পতিবারই গ্রামীণফোন ও রবির টু-জি এবং থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না সেই মর্মে অপারেটর দুটিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর দুটিকে বৃহস্পতিবার এ চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে গ্রামীণফোন ও রবিকে।
গত এপ্রিল মাসে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়।
বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়, গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়। এরপর এই আদেশ প্রত্যাহার করে এনওসি দেওয়া বন্ধ করা হয়।
এছাড়া বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করায় গত জুলাইয়ে গ্রামীণফোন ও রবির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শীর্ষ এই দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের ব্যান্ডউইথ আংশিকভাবে ব্লক করা হয়।