ভোলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হচ্ছে ৩৮ জনের

প্রতীকী ছবি

আব্দুর রহমান নোমান: ভোলা জেলাব্যাপী গত কয়েকদিনে নতুন করে কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা না হলেও ৩৮ জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। এ কারণে আগামীকাল তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।

ভোলা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ নজরুল ইসলাম ভোলা প্রতিদিন কে ( bhola pratidin ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নজরুল ইসলাম জানান, ভোলা জেলায় এখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩৮ জন। তাদের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ আজ সোমবার শেষ হবে। এরপর নানা প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা আগামীকাল ছাড়পত্র পেতে পারেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জনকে করোনাভাইরাস সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখন মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন ৮৯৪ জন। বাকিরা মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং ঝুঁকি না থাকায় ধাপে ধাপে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

এই পরিসংখ্যানবিদ বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছে ২৪টি রিপোর্ট। এর সবগুলোই নেগেটিভ, কারও করোনা শনাক্ত নেই।

সিভিল সার্জন অফিসের এই পরিসংখ্যানবিদ বলেন, জেলা থেকে সর্বমোট ২০৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৫টি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, আর ২৯টি নমুনা পাঠানো হয়েছে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যালের পরীক্ষাগারে। তবে বরিশাল থেকে এখনও কোনো রিপোর্ট আসেনি।

ভোলা থেকে বরিশাল এত কাছাকাছি হওয়ার পরও এখনো কেন সেখান থেকে কোনো রিপোর্ট আসেনি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরিশালের ল্যাবের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। জনবল সংকটও রয়েছে। এজন্য তারা আগে যেসব জায়গা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব স্থানের নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন। ভোলা জেলায় এখনও যেহেতু কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি, তাই জেলাকে কম ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে পরে পরীক্ষার ফল দিতে পারেন।