ভোলা-বরিশাল সেতুর পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুর পরিকল্পনা

আব্দুর রহমান নোমান: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন: ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুও নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন: ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার আরো বাড়বে। আর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুর ফলে চট্রগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে বরিশাল দিয়ে মোংলা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ প্রস্তাবনার অগ্রগতি পর্যালচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তোফায়েল আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন: এ ধরনের সেতু নির্মাণ করা গেলে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার বাড়বে। এতে করে ইপিজেড ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও থাকবে।

‘ভোলার ভূ-গর্ভস্থ এলাকায় গ্যাস আবিষ্কৃৃত হয়েছে। এখানে গ্যাসভিত্তিক শিল্পায়ন করা সম্ভবপর হবে। এখানে ইপিজেড নির্মাণের জন্য চাইনিজ একটি কোম্পানি ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার লক্ষ্য নিয়ে ৪ শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করছে’, বলেন তোফায়েল আহমেদ।

সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন: ২০২১ সালে ভোলা-বরিশাল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ফলে ভোলা থেকে ঢাকা যেতে দেড় শ’ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।

আগামী সপ্তাহে সেতুসংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ভোলায় কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর উপর দিয়ে মোট ২টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিকে সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, খাদ্য সচিব মো. সাহাবুদ্দিন, ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার।

পরে তোফায়েল আহমেদ, সেতু সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ স্থাপন স্থান পরিদর্শন করেন।