লালমোহনে সালিশ বৈঠকে ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা

লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে সালিশ বৈঠকে ইউপি সদস্য ফারুক ও তার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে বুইল্লাওয়ালা গ্রামে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই ফারুক মেম্বারের ভাই সোহরাব বাদী হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করে। লালমোহন থানা মামলা নং ০৮।
মামলায় শাহাবুদ্দিন, শাহিন, নয়ন, হেলাল, বেলাল পিতা সাহেব আলী, শামসুদ্দিন পিতা মৃত মৌলভী কোব্বাত আলী, শামিম পিতা শামসুদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার ১নং আসামি শাহাবুদ্দিনকে রাতেই গ্রেপ্তার করে পরদিন সকালে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করে লালমোহন থানা পুলিশ। রাতে ফারুক মেম্বার তার ব্যক্তিগত অফিসে এ হামলার ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে। হামলায় ইউপি সদস্য ফারুক মাল, তার ছোট ভাই সোহরাব মাল ও সোহাগ মাল আহত হয়েছে জানান। গুরুতর আহত সোহাগ মালকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলা ও ইউপি সদস্যের দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, প্রায় ৫বছর আগে লালমোহন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহেব আলীর ছেলে ও শাহাবুদ্দিনের ভাই হেলালের কাছ থেকে ৮শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফারুক মেম্বারের ছোট ভাই সোহাগ মাল। জমির দলিল বুঝিয়ে না দিলেও জমি বুঝিয়ে দেয় হেলাল। পরে ওই জমিতে বসতঘর তুলে সেখানে দীর্ঘ ৪/৫বছর যাবত পরিবারসহ বসবাস করছেন সোহাগ মাল।
ইতোমধ্যে ওই জমি দখলের পায়তারা চালায় হেলাল গংরা। এনিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সোহাগের বাড়ির উঠোনে সালিশ বৈঠক হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে হেলালের বড় ভাই শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে শাহিন, নয়ন, হেলাল, বেলাল, সামসুদ্দিন ও শামিমসহ আরও কয়েকজনে মিলে ইউপি সদস্যসহ তার ভাইদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও মারপিট করে। এসময় সোহাগ মালের বসতঘরেও ভাঙচুর চালায় এবং ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও মহিলাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
ইউপি সদস্য ফারুক মাল সাংবাদিকদের জানান, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনের সাথে পূর্বে একটি বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে শালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে মেয়রের লোকজন দিয়ে ইউপি সদসের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন এর মুঠোফোনে কল করলে তা রিসিভ হয়নি।