ঢাকা টু ভোলা যাওয়ার উপায় কী

দ্বীপজেলা ভোলা দেশের বৃহত্তম একটি দ্বীপ। এখনও পর্যন্ত এটি দেশের একটি বিচ্ছিন্ন জেলা। এর কারণ হলো- ভোলার সাথে এখনও দেশের মূল ভূখণ্ডের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। নৌপথই একমাত্র ভরসা। সেই হিসাবে ঢাকা থেকে ভোলা যাওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। তবে সড়ক পথে বরিশাল কিংবা লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত এসে ফেরিতে করে ভোলায় আসা যায়।

ঢাকা টু ভোলা যাওয়ার সহজ উপায়
ঢাকা টু ভোলা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো লঞ্চ। এজন্য প্রথমে ঢাকার সদরঘাট আসতে হবে। সেখানে এসে ভোলা ও এর বিভিন্ন উপজেলা যেমন- ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন কিংবা চরফ্যাশন এর লঞ্চে উঠতে হবে। সেখানে ডেক এবং কেবিন রয়েছে। নিজের সামর্থ্য ও ইচ্ছা অনুযায়ী ডেক কিংবা কেবিনে করে রাতভর ভ্রমণ করে ভোরবেলা ভোলার কাঙ্খিত গন্তব্যে আসা যায়।

এছাড়া এখন কিছু দিবা সার্ভিসও রয়েছে। গ্রিনলাইন, কর্নফুলী-১৪, এমভি দোয়েল পাখি সহ বেশ কয়েকটি লঞ্চ সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে সদরঘাট থেকে ভোলার ইলিশার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ইলিশা নেমে ভোলার যেকোন জায়গায় যাওয়া যায়।

বরিশাল হয়ে ভোলা যাওয়ার উপায়
পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশাল আসা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। তবে ভোলা-বরিশাল সেতু না হওয়ায় পদ্মা সেতুর সুফল পুরোপুরি পায়নি ভোলা। তবুও ঢাকা কিংবা দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কপথে এসে সেখান থেকে ভোলা আসা যায়। সেজন্য বরিশাল লঞ্চঘাটে ভোলাগামী লঞ্চ, স্পিডবোট রয়েছে। ভাড়ার বিষয়ে দরদাম করে নিতে হবে।

এছাড়াও বরিশালের লাহারহাট থেকে ভোলার ভেদুরিয়া (লাহারহাট টু ভেদুরিয়া) ফেরিঘাট রয়েছে। ফেরিতে আসতে চাইলে লঞ্চঘাটের নদী পার হয়ে গাড়ি বা মোটরসাইকেলে লাহারহাট আসতে হবে। সেখান থেকে ফেরিতে করে ভোলা আসা যাবে।

লক্ষ্মীপুর হয়ে ভোলা আসার উপায়
ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা দেশের অন্য যেকোন জেলা থেকে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর এসে সেখান থেকে ছোট লঞ্চ, সী ট্রাক বা ফেরিতে করে ভোলা আসা যায়। এজন্য লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট আসতে হবে। সেখান থেকে ভোলাগামী লঞ্চ, সী ট্রাক বা ফেরি রয়েছে। মেঘনার উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে দুই-আড়াই ঘণ্টায় চলে আসা যাবে ভোলা।