বিএনপির দলীয় অনুষ্ঠানে এখন ডাক পাই না: মেজর হাফিজ

bhola pratidin_bhola protidin_ভোলা প্রতিদিন

বিএনপির দলীয় অনুষ্ঠানে এখন আর ডাক পান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বর্ণিত দলীয় সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সহ মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত স্মরণীয় দিবস সমূহে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানেও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।

গত সোমবার ‘দায়িত্ব পালনে অপারগতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে’ কারণ দর্শানোর নোটিশ পান মেজর হাফিজ এবং সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় অবস্থান পরিষ্কার করেন সাবেক এই মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যের ব্যাত্যয় ঘটেছে। ব্যক্তি রুহুল কবির রিজভী একজন ভদ্র, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা, তার সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে, তার কাছ থেকে এ ধরনের চিঠি আশা করিনি।

এসময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় দলীয় স্বার্থ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কোন বক্তব্য দেননি বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দলীয় সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সম্পর্কে কোন মিথ্যা কিংবা অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করিনি বরং আত্মসমালোচনা করেছি।

ওয়ান ইলেভেন আমলের জরুরি অবস্থার সময় নিজের নেওয়া অবস্থান সম্পর্কেও কথা বলেন মেজর হাফিজ। সেই সময় তার অনুরোধে বিএনপির ১০৫ জন এমপিকে সেনা কর্মকর্তারা ফেরদৌস কোরাইশির দলে যোগদান থেকে বিরত রেখেছিল বলেও দাবি করেন দলের তৎকালীন সংস্কারপন্থী অংশের মহাসচিব মেজর হাফিজ। এতে বিএনপি তখন ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায় বলেও দাবি করেন তিনি।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশনেত্রী তার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের মাধ্যমে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য আমার কাছে নির্দেশ পাঠান। সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার তার বাসভবনে আমাকে ও মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে বৈঠকে উপস্থিত হবার জন্য অনুরোধ করেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হই, কিন্তু দেলোয়ার সাহেব আসেননি। পরদিন আমি খোন্দকার দেলোয়ার সাহেবের সাথে বারডেম হাসপাতালে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হই, রুহুল কবির রিজভী আমাকে সেখানে প্রবেশ করতে দেখেছেন।

মেজর হাফিজ বলেন, পরবর্তী সপ্তাহে এমপি হোস্টেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ শাহজাহানের বাসায় খোন্দকার দেলোয়ারের সাথে দেড়ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর আমাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। মহাসচিব আমাকে সেনা কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করে বিএনপিকে ক্ষমতায় নেবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন। পরবর্তীকালে আমি বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়া ও খোন্দকার দেলোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে বক্তব্য রাখি।